এপ্রিলে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা হলো না কেন?

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের মধ্যে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে সরকারকে অনুরোধ করেছিল বিএনপি। তবে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা না হওয়ায় তার দেশে ফেরা কিছুটা পিছিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঠিক হলে শিগগিরই দেশে ফিরবেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এই তথ্য জানান। এ কর্মকর্তা বলেন, বিএনপির অনুরোধের প্রেক্ষিতে এপ্রিলের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। তবে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা হতে কিছুটা সময় লাগছে, সেজন্য নির্দিষ্ট সময়ের অনুরোধ রক্ষা করা যায়নি। এ ছাড়া, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথাটাও চিন্তা করতে হবে। আশা করা হচ্ছে, তিনি শিগগরিই দেশে ফিরবেন।
জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, তাকে দেশে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন। খালেদা জিয়াসহ ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে দেশে ফেরানোর তালিকা সরকারের কাছে দিয়েছে বিএনপি।
খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে গত ১৭ এপ্রিল কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্র্বতী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছিলেন।
চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তথাপি তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।
খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়।
আপনার মতামত লিখুন
Array