খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০২৬ বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ৭ ভেন্যুর নাম ঘোষণা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ
২০২৬ বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ৭ ভেন্যুর নাম ঘোষণা

২০২২ সালেই মেয়েদের ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ইংল্যান্ডের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আসন্ন টুর্নামেন্টের সময়সূচি ও সাতটি ভেন্যুর নাম ঘোষণা করেছে। আগামী বছরের ১২ জুন শুরু হয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা নামবে ৫ জুলাই। ফাইনাল হবে ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

এর আগে ২০১৭ সালে সর্বশেষ লর্ডসে আইসিসি নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল। যেখানে ভারতকে ৯ রানে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক ইংলিশরা। মেয়েদের আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৪ দিনে হবে ৩৩টি ম্যাচ। এই আসরে প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ১২ করা হয়েছে। যেখানে ৬টি করে দল ভাগ হয়ে খেলবে দুই গ্রুপে। গত বছরের অক্টোবরে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটে থাকা দলগুলো বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। বাছাইপর্ব খেলে উঠবে আরও ৪ দল।

আয়োজক ইংল্যান্ডের সঙ্গে ২০২৪ ওয়ানডে সুপার কাপে পারফরম্যান্সের সুবাদে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাওয়া দলগুলো হচ্ছে– অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ছাড়া র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মেয়েরাও সেই সুযোগ পেয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ বাকি দলগুলোকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব।

 

লর্ডসে আজ আসন্ন বিশ্বকাপের ভেন্যু ও সূচি ঘোষণা করেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের বিত্তশালী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজন প্রতিটি দলের জন্য আবেগীয় সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। এখানে এমন ইভেন্ট অতীতেও স্মরণীয় হয়ে আছে। ২০১৭ আসরে লর্ডস দারুণ নারী ক্রিকেটে দারুণ মাইলফলক তৈরি করেছিল, তাই ফাইনালের জন্য এরচেয়ে উপযুক্ত ভেন্যু হতে পারে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে আমরাও যেমন রোমাঞ্চিত, তেমনি ২০২৮ লস অ্যাঞ্জলস অলিম্পিকে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনের জন্যও পূর্ব-প্রদর্শনী।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী ইয়ান গুল্ড, ইংল্যান্ড নারী দলের কোচ চার্লট এডওয়ার্ডস এবং দেশটির তারকা ক্রিকেটার ট্যামি ব্যুমন্ট, সোফিয়া ডাঙ্কলি, সোফি এক্লেস্টন, লরেন বেল ও ইংলিশ রাগবি তারকা ইলি কিলদুন্নে। লর্ডস ছাড়াও আসন্ন বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো হচ্ছে– ওল্ড ট্রাফোর্ড, হেডিংলি, এজবাস্টন, হ্যাম্পশায়ার বোল, দ্য ওভাল ও ব্রিস্টল ক্রিকেট গ্রাউন্ড।

একই রাতে দুই মহাতারকার স্বপ্নভঙ্গ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ
একই রাতে দুই মহাতারকার স্বপ্নভঙ্গ

দুজনেই আছেন নিজেদের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়। যদিও এখনও তারাই ফুটবলবিশ্বের মহাতারকা। দীর্ঘ সময় বিশ্বের জায়ান্ট ক্লাবগুলোতে রোমাঞ্চকর দ্বৈরথ দেখানো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এখন ইউরোপ থেকে অনেক দূরে। তবে এখনও তাদের ফুটবল মাঠে ঝড় তোলা কিংবা শিরোপা জয়ের ক্ষুধা মেটেনি। গতকাল (বুধবার) রাতে ভিন্ন দুই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে নেমে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে মেসি-রোনালদো উভয়েরই।

 

বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী খেলার মুহূর্তটা রাত ও ভোরে হলেও একইদিন রাতেই মূলত মাঠে নামেন দুই মহাতারকা। প্রথমে জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জাপানের কাওয়াসাকি ফ্রন্তেলের মুখোমুখি হয় রোনালদোর দল আল নাসর। ৩-২ গোলে হেরে তারা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। যেখানে এই পর্তুগিজ তারকা গোল তো পান-ইনি, উল্টো সুযোগ হাতছাড়া করেছেন যোগ করা সময়ে।

বয়সটা ৪০ হলেও ফুটবলারের ভূমিকায় রোনালদো যেন একে থোড়াই কেয়ার করেন। কয়েকদিন আগেই সৌদি ক্লাবটির জার্সিতে ৯৩৪তম গোল পেয়েছিলেন, ছুটছেন সেই চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে। ঘোষণা দিয়েছিলেন ১০০০ গোল করার। পেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ এই গোলদাতা তারকা সেমিতে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর আবেগটা লুকাননি। আল-নাসরের হয়ে একটি শিরোপা জেতার আক্ষেপটা দীর্ঘ করেই নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে রোনালদো লিখেছেন, ‘কখনও কখনও স্বপ্নকে অপেক্ষা করতে হয়। আমি এই দল এবং পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত।’

 

সিআরসেভেনের সেই হতাশাগ্রস্ত ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা পর ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে খেলতে নামেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। তিনিও এদিন কোনো সুখকর চিত্র আঁকতে পারেননি। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে প্রথম লেগে হেরে বিদায়ের শঙ্কায় ছিলেন লিওনেল মেসিদের ইন্টার মায়ামি। তবে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও তাদের আশাটা জিইয়ে ছিল, বিশেষত দ্বিতীয় লেগ যে ঘরের মাঠে। কিন্তু মেসি-সুয়ারেজরা সেই ব্যবধান তো ঘুচাতেই পারলেন না, উল্টো ফিরতি লেগেও ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারলেন।

এপ্রিলে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা হলো না কেন?

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ
এপ্রিলে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা হলো না কেন?

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের মধ্যে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে সরকারকে অনুরোধ করেছিল বিএনপি। তবে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা না হওয়ায় তার দেশে ফেরা কিছুটা পিছিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঠিক হলে শিগগিরই দেশে ফিরবেন তিনি।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এই তথ্য জানান। এ কর্মকর্তা বলেন, বিএনপির অনুরোধের প্রেক্ষিতে এপ্রিলের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। তবে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা হতে কিছুটা সময় লাগছে, সেজন্য নির্দিষ্ট সময়ের অনুরোধ রক্ষা করা যায়নি। এ ছাড়া, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথাটাও চিন্তা করতে হবে। আশা করা হচ্ছে, তিনি শিগগরিই দেশে ফিরবেন।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, তাকে দেশে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন। খালেদা জিয়াসহ ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে দেশে ফেরানোর তালিকা সরকারের কাছে দিয়েছে বিএনপি।

খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে গত ১৭ এপ্রিল কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্র্বতী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছিলেন।

 

চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তথাপি তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়।

শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ
শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।তিনি জানান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে একটি রোডম্যাপ বাস্তবায়ন ও শ্রমমান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নতিকরণে আমরা কাজ করছি। যার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সমন্বিত জাতীয় পরিকল্পনাও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) মহান মে দিবস ও জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনগণের অভ্যুত্থান একটি নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছে। তবে সেই নতুন বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ নেবে না, যদি শ্রমিকদের অবস্থা আগের মতোই থেকে যায়। আজকের স্লোগানটি আমাদের দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।তিনি বলেন, শ্রমিক মালিকের সুসম্পর্কের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মে দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। শ্রমিক ও মালিক পরস্পরের পরিপূরক। পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা একটি আত্মনির্ভরশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব বলে বিশ্বাস করি।

শ্রমিকদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হলে মালিক শ্রমিকের ঐক্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শ্রমিকের সম্ভাবনা বিকাশের মাধ্যমে দেশ গঠনে তাদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।