খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি থেকে কী পেলো ইউক্রেন?

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি থেকে কী পেলো ইউক্রেন?

কয়েক মাসের দর কষাকষির পর অবশেষে বুধবার (৩০ এপ্রিল) বহুল আলোচিত খনিজ চুক্তিতে সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই ইউক্রেনের সঙ্গে খনিজ সম্পদ চুক্তির করছিলেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে তার সঙ্গে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকে তীব্র বাদানুবাদের পর পরিস্থিতি তিক্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন রাজস্ব দপ্তর বুধবার ঘোষণা করেছে, উভয় দেশ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছে। অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই নিষ্ঠুর এবং অযৌক্তিক যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর জন্য সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইউক্রেনের অর্থনৈতিক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা সামরিক সহায়তার মাধ্যমে এই তহবিলে অর্থ দেবে এবং ইউক্রেন খনিজ সম্পদের আয় থেকে ৫০ শতাংশ তহবিলে প্রদান করবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ১০ বছর এই তহবিলের সব অর্থই ইউক্রেনে বিনিয়োগ হবে; এরপর লাভ অংশীদারদের মধ্যে ভাগ হবে।

 

তহবিল পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন সমানভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং এই চুক্তির আওতায় শুধু ভবিষ্যতের সামরিক সহায়তা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেঙ্কো বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা শুধু বিনিয়োগই নয়, বরং একটি কৌশলগত অংশীদারও লাভ করেছি।

চুক্তির শর্তাবলীর মধ্যে অন্যতম হলো, খনিজের ‘সম্পূর্ণ মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ’ ইউক্রেনের কাছে থাকবে।

ইউলিয়া স্ভিরিদেঙ্কো বলেন, আমাদের ভূখণ্ড ও জলসীমার সব সম্পদ ইউক্রেনের মালিকানাধীন। ইউক্রেনই নির্ধারণ করবে কী এবং কোথায় উত্তোলন করা হবে। ভূগর্ভস্থ সম্পদ ইউক্রেনের মালিকানাধীন থাকবে — এটি চুক্তিতে স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত।

নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিয়ে অনিশ্চয়তা
যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের মধ্যকার খনিজ চুক্তির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এতে ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টির উল্লেখ রয়েছে কি না তাও স্পষ্ট নয়।

তবে ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ইউক্রেন প্রথমে চুক্তি করুক এবং পরে গ্যারান্টি নিয়ে আলোচনা হবে।

 

তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ এবং মার্কিন কোম্পানির ইউক্রেনে উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি আগ্রহী করবে।

সহায়তার প্রতিদান দিতে হবে না
ট্রাম্প ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সহায়তার ‘প্রতিদান’ হিসেবে চুক্তিটিকে তুলে ধরেছিলেন। রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর বিনিময়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের খনিজ দাবি করেছিলেন ট্রাম্প।

তবে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শমিহাল বলেছেন, খনিজ চুক্তির আওতায় ইউক্রেনকে আগে পাওয়া সহায়তার কোনো প্রতিদান বা অর্থ ফেরত দিতে হবে না।

মালয়েশিয়ার লাংকাউই: প্রকৃতি ও রোমাঞ্চে ভরপুর চারদিন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ
মালয়েশিয়ার লাংকাউই: প্রকৃতি ও রোমাঞ্চে ভরপুর চারদিন

মোস্তাকিম জনি

মালয়েশিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য লাংকাউই। ইউনেস্কো স্বীকৃত গ্লোবাল জিওপার্কের অন্তর্ভুক্ত এই দ্বীপপুঞ্জ প্রকৃতি ও অ্যাডভেঞ্চারের এক অপূর্ব সমন্বয়। সম্প্রতি চারদিনের সফরে ঘুরে দেখা হয়েছে এই স্বপ্নময় গন্তব্য, যেখানে পাহাড়, সৈকত ও ইতিহাস একসঙ্গে মিশে আছে।

যাত্রা ও প্রথম অভিজ্ঞতা 

লাংকাউই পৌঁছানোর পর এয়ারপোর্ট থেকে একটি ট্যাক্সি নিয়ে সরাসরি হোটেলে পৌঁছানো হয়। এরপরই শুরু হয় প্রকৃতির সঙ্গে এক গভীর আত্মিক যোগাযোগ। সৈকতের হিম বাতাস আর চারপাশের প্রশান্ত পরিবেশ যেন আগমনের প্রথম মুহূর্তেই মুগ্ধ করে।

চেনাং বিচের রাতে আগুন আর সুরের ছন্দে মুগ্ধ দর্শকরা, ফায়ার শো যেন এক জীবন্ত রোমাঞ্চ!

চেনাং বিচের সন্ধ্যা ও ফায়ার শো 

প্রথম সন্ধ্যাটি কাটে লাংকাউইয়ের বিখ্যাত পান্তাই চেনাং বিচে। সমুদ্রের ধারে বিনামূল্যে আয়োজিত ফায়ার শো দর্শনার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি করে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। পর্যটকদের সুবিধার্থে সেখানে থাকা রেস্টুরেন্ট থেকে মাত্র একটি ড্রিঙ্ক অর্ডার করলেই সিটে বসে উপভোগ করা যায় শোটি। আগুন আর মিউজিকের মিশেলে তৈরি শোটি চলে প্রায় রাত ১টা পর্যন্ত।

লাংকাউই স্কাই ক্যাবে চড়ে সবুজ পাহাড় আর নীল জলরাশির অপূর্ব সমারোহ উপভোগ করছেন পর্যটকরা।

স্কাই ক্যাব ও স্কাই ব্রিজ: রোমাঞ্চের নতুন সংজ্ঞা 

পরদিন সকালে লাংকাউই স্কাই ক্যাবের উদ্দেশে যাত্রা শুরু হয়। প্রায় ২,৩২৩ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত Gunung Mat Cincang পাহাড়ের চূড়ায় যাওয়ার এই কেবল কার যাত্রা পর্যটকদের জন্য এক দারুণ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। সমুদ্র, পাহাড় ও সবুজ বন একসঙ্গে উপভোগ করার সুযোগ তৈরি হয় পুরো পথজুড়ে।

চূড়ায় উঠে দেখা যায় স্কাই ব্রিজ—বিশ্বের অন্যতম উঁচু ঝুলন্ত সাসপেনশন ব্রিজ। জানা যায়, ব্রিজটির পুরো স্টিল স্ট্রাকচার গ্রাউন্ডে তৈরি করে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পাহাড়ের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। এটিকে ধরে রেখেছে একটিমাত্র টাওয়ার ও স্ট্রং ক্যাবল। এখানেই শুটিং হয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা “ডন”-এর শেষ দৃশ্য।

লাংকাউইয়ের থ্রিডি আর্ট গ্যালারিতে ডাইনোসরের মুখ থেকে পালানোর নাটকীয় দৃশ্য—মজা আর স্মৃতিতে ভরপুর মুহূর্ত!

থ্রিডি আর্ট গ্যালারিতে বাস্তব ও কল্পনার মিলন 

স্কাই ব্রিজ ঘুরে এসে নিচে নামার পর দর্শনার্থীরা প্রবেশ করেন থ্রিডি আর্ট গ্যালারিতে। সেখানে বিশাল পেইন্টিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে মনে হয়, যেন বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার জগতে পা রাখা হয়েছে।

লাংকাউইয়ে দ্বীপের পিয়ারে ভিড়ছে বোট, চারপাশে সবুজ পাহাড় আর নীল জলরাশি।

আইল্যান্ড হপিং

পরদিন সকালেই বুক করা হয় আইল্যান্ড হপিং ট্যুর। গাড়ি করে পৌঁছে যাওয়া হয় পিয়ারে, সেখান থেকে বোটে চড়ে একে একে ঘোরা হয় বেশ কয়েকটি দ্বীপে। এর মধ্যে প্রেগন্যান্ট মেইডেন আইল্যান্ড ছিল অন্যতম। দ্বীপটির একটি পাহাড়কে দূর থেকে দেখতে মনে হয় গর্ভবতী নারী শুয়ে আছেন।

পরে যাওয়া হয় ঈগল ওয়াচিং স্পটে, যেখানে আকাশ থেকে নেমে আসে একঝাঁক ঈগল—পর্যটকদের জন্য চরম রোমাঞ্চকর এক মুহূর্ত।

এখানেই জানা যায় ‘লাংকাউই’ নামটির উৎপত্তি—‘হেলাং’ অর্থ ঈগল, আর ‘কাউই’ মানে লালচে বাদামী রঙ। এখানকার আকাশে ওড়া ঈগলের রঙ থেকেই নামকরণ হয়েছে দ্বীপটির।

ঈগল ওয়াচিং স্পট

শেষ বিকেল: ফিরে দেখা চারদিনের ভ্রমণ 

লাংকাউই ভ্রমণের শেষ বিকেলটি কাটে পান্তাই চেনাং বিচে। হোটেলের পাশেই অবস্থিত এই সৈকত পর্যটকদের মধ্যে দিনশেষে প্রশান্তির অনুভূতি এনে দেয়। সাদা বালি, নীল পানি আর নরম বাতাস যেন বিদায়ের আগেই হৃদয়ে গেঁথে যায়।

কেউ সমুদ্রে নেমে স্নান করছেন, কেউবা চুপচাপ বসে ঢেউয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন—সবার মধ্যেই এক ধরনের আবেগ কাজ করছে। পরদিন সকালে ফিরে আসার প্রস্তুতি থাকলেও মনের মধ্যে রয়ে যায় একরাশ তৃপ্তি ও স্মৃতিময়তা।

পান্তাই চেনাং বীচ

উপসংহার 

চারদিনের এই ভ্রমণে লাংকাউই শুধু একটি স্থান নয়, হয়ে উঠেছে এক অনুভূতির নাম। প্রকৃতি, ইতিহাস, আর রোমাঞ্চ একসঙ্গে যাদের আকর্ষণ করে—তাদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি আদর্শ গন্তব্য।

আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য হোটেল ও টিকিট বুক করতে চাইলে Agoda থেকে সহজেই বুকিং করুন—এক ক্লিকে শুরু হোক আপনার যাত্রা।

একই রাতে দুই মহাতারকার স্বপ্নভঙ্গ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ
একই রাতে দুই মহাতারকার স্বপ্নভঙ্গ

দুজনেই আছেন নিজেদের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়। যদিও এখনও তারাই ফুটবলবিশ্বের মহাতারকা। দীর্ঘ সময় বিশ্বের জায়ান্ট ক্লাবগুলোতে রোমাঞ্চকর দ্বৈরথ দেখানো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এখন ইউরোপ থেকে অনেক দূরে। তবে এখনও তাদের ফুটবল মাঠে ঝড় তোলা কিংবা শিরোপা জয়ের ক্ষুধা মেটেনি। গতকাল (বুধবার) রাতে ভিন্ন দুই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে নেমে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে মেসি-রোনালদো উভয়েরই।

 

বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী খেলার মুহূর্তটা রাত ও ভোরে হলেও একইদিন রাতেই মূলত মাঠে নামেন দুই মহাতারকা। প্রথমে জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জাপানের কাওয়াসাকি ফ্রন্তেলের মুখোমুখি হয় রোনালদোর দল আল নাসর। ৩-২ গোলে হেরে তারা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। যেখানে এই পর্তুগিজ তারকা গোল তো পান-ইনি, উল্টো সুযোগ হাতছাড়া করেছেন যোগ করা সময়ে।

বয়সটা ৪০ হলেও ফুটবলারের ভূমিকায় রোনালদো যেন একে থোড়াই কেয়ার করেন। কয়েকদিন আগেই সৌদি ক্লাবটির জার্সিতে ৯৩৪তম গোল পেয়েছিলেন, ছুটছেন সেই চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে। ঘোষণা দিয়েছিলেন ১০০০ গোল করার। পেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ এই গোলদাতা তারকা সেমিতে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর আবেগটা লুকাননি। আল-নাসরের হয়ে একটি শিরোপা জেতার আক্ষেপটা দীর্ঘ করেই নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে রোনালদো লিখেছেন, ‘কখনও কখনও স্বপ্নকে অপেক্ষা করতে হয়। আমি এই দল এবং পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত।’

 

সিআরসেভেনের সেই হতাশাগ্রস্ত ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা পর ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে খেলতে নামেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। তিনিও এদিন কোনো সুখকর চিত্র আঁকতে পারেননি। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে প্রথম লেগে হেরে বিদায়ের শঙ্কায় ছিলেন লিওনেল মেসিদের ইন্টার মায়ামি। তবে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও তাদের আশাটা জিইয়ে ছিল, বিশেষত দ্বিতীয় লেগ যে ঘরের মাঠে। কিন্তু মেসি-সুয়ারেজরা সেই ব্যবধান তো ঘুচাতেই পারলেন না, উল্টো ফিরতি লেগেও ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারলেন।

২০২৬ বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ৭ ভেন্যুর নাম ঘোষণা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ
২০২৬ বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ৭ ভেন্যুর নাম ঘোষণা

২০২২ সালেই মেয়েদের ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ইংল্যান্ডের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আসন্ন টুর্নামেন্টের সময়সূচি ও সাতটি ভেন্যুর নাম ঘোষণা করেছে। আগামী বছরের ১২ জুন শুরু হয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা নামবে ৫ জুলাই। ফাইনাল হবে ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

এর আগে ২০১৭ সালে সর্বশেষ লর্ডসে আইসিসি নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল। যেখানে ভারতকে ৯ রানে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক ইংলিশরা। মেয়েদের আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৪ দিনে হবে ৩৩টি ম্যাচ। এই আসরে প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ১২ করা হয়েছে। যেখানে ৬টি করে দল ভাগ হয়ে খেলবে দুই গ্রুপে। গত বছরের অক্টোবরে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটে থাকা দলগুলো বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। বাছাইপর্ব খেলে উঠবে আরও ৪ দল।

আয়োজক ইংল্যান্ডের সঙ্গে ২০২৪ ওয়ানডে সুপার কাপে পারফরম্যান্সের সুবাদে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাওয়া দলগুলো হচ্ছে– অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ছাড়া র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মেয়েরাও সেই সুযোগ পেয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ বাকি দলগুলোকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব।

 

লর্ডসে আজ আসন্ন বিশ্বকাপের ভেন্যু ও সূচি ঘোষণা করেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের বিত্তশালী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজন প্রতিটি দলের জন্য আবেগীয় সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। এখানে এমন ইভেন্ট অতীতেও স্মরণীয় হয়ে আছে। ২০১৭ আসরে লর্ডস দারুণ নারী ক্রিকেটে দারুণ মাইলফলক তৈরি করেছিল, তাই ফাইনালের জন্য এরচেয়ে উপযুক্ত ভেন্যু হতে পারে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে আমরাও যেমন রোমাঞ্চিত, তেমনি ২০২৮ লস অ্যাঞ্জলস অলিম্পিকে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনের জন্যও পূর্ব-প্রদর্শনী।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী ইয়ান গুল্ড, ইংল্যান্ড নারী দলের কোচ চার্লট এডওয়ার্ডস এবং দেশটির তারকা ক্রিকেটার ট্যামি ব্যুমন্ট, সোফিয়া ডাঙ্কলি, সোফি এক্লেস্টন, লরেন বেল ও ইংলিশ রাগবি তারকা ইলি কিলদুন্নে। লর্ডস ছাড়াও আসন্ন বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো হচ্ছে– ওল্ড ট্রাফোর্ড, হেডিংলি, এজবাস্টন, হ্যাম্পশায়ার বোল, দ্য ওভাল ও ব্রিস্টল ক্রিকেট গ্রাউন্ড।